আজিজুল হক নাজমুল –
কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভবানীপুর সেতুটি পারাপার হচ্ছে ভিতরবন্দের হাজার হাজার মানুষ। চলাচলের প্রায় অযোগ্য সেতুটি পথচারীদের জন্য এক মারণফাঁদে পরিণত হয়েছে।
প্রায় তিন বছর ধরে ব্রীজটির এ অচল অবস্থা। তবু প্রয়োজনের তাগিদে বাধ্য হয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় এলাকার ছাত্র শিক্ষক ও সাধারণ জনগনের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর মাঝ বরাবর বিভিন্ন জায়গায় ঢালাই ভেঙে শুধু রড বেরিয়ে আছে।
ভাঙা অংশ দিয়ে নিচে পানি দেখা যায়। মাঝখানে গর্ত আর পার্শ্ব রেলিং না থাকায় চলাচলের সময় সতর্কতা অবলম্বন না করলে মুহূর্তেই ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। স্থানীয় আবদার হোসেন জানায় মাঝে মধ্যেই ছোট খাট দুর্ঘটনা ঘটেই চলছে। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ভিতরবন্দ ইউনিয়নের দিগদারী ভবানীপুর গ্রামের জামে মসজিদ সংলগ্ন সেতুটির ওপর দিয়ে পুসকুনিরপাড়, নাথেরভিটা, ডারারপাড়, ঝাকুয়াবাড়ী, ফান্দেরভিটা, নওয়ানারভিটা, মেছপাড়া ও কেরানিয়ার গাঁসহ আট গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে।
তাই দ্রুত সেতুটি সংস্কার বা পুননিমাণের পদক্ষেপ না নিলে যেকোনো মুহূর্তে প্রাণহানির মতো ঘটনা ঘটতে পারে বলে স্থানীয় লোকজনের দাবি। স্থানীয় হাছান আলী মাষ্টার, শিক্ষার্থী হাফসা, আলমগীর হোসেন বলেন পারাপার হতে গিয়ে এখানে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। ৭ সেপ্টেম্বর এক পথচারী সেতু পারাপারের সময় ভাঙা অংশ দিয়ে পড়ে গুরুতর আহত হয় এবং সঙ্গে থাকা জমির দলিলসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ভিজে যায়।
এ বিষয়ে ভিতরবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম খন্দকার বাচ্চু বলেন, ‘সেতুটি দিয়ে হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে। সেতুটি ভেঙে পুণনিমান করা জরুরী । বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপরে সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। নাগেশ্বরী উপজেলা প্রকৌশলী বাদশা আলমগীর বলেন, ‘সেতুটি পুনণিমানের ব্যাপারে আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই।