নীলফামারী প্রতিনিধিঃ নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি ইউনিয়নের উত্তর বেরুবন্দ গ্রামে রঞ্জন কুমার রায় নামের পঞ্চম শ্রেনীর এক ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। শনিবার(২৬ জুন) দুপুরে গ্রামের অদুরে বুড়িখোড়া নদীর ধারে একটি গাছে গলায় ফাঁস দিয়ে শিশুটি আত্মহত্যা করে।
স্বজনরা দাবি করেছেন, মুরগী চুরির অপবাদে দিনমজুর বাবা হিরম্ব কুমার রায় ধমক দিয়েছিল।শনিবার সকালে শিশুটি কিছু না খেয়েই রাগ করে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। তার মা মায়া রানী ছেলেকে আটকানোর চেস্টা করেন। সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর সকাল খবর পান রঞ্জন আত্মহত্যা করেছে। শিশুটির মৃত্যুর এ ঘটনা এলাকায় প্রতিক্রিয়া তৈরী করেছে। শিশুটি গ্রামের ব্র্যাক স্কুলের শিক্ষার্থী।
গ্রামবাসী জানায়, রঞ্জনের বাবা হিরম্ব দিনমজুর। কৃষি জমিতে কায়িক শ্রমিকের কাজ করেন। নিজের ঘরবাড়ি নেই। তাই শ্বশুড়ের ভিটেতেই বসবাস করেন। তাদের দুই ছেলে। রঞ্জন দ্বিতীয়। বড় ছেলে চন্দন ইটভাটিতে শ্রমিকের কাজ করে। দুস্থ এই পরিবারটির সন্তান রঞ্জন লিখাপড়া করে মানুষের মতো মানুষ হতে চেয়েছিল। কিন্তু করোনাকালিন স্কুল বন্ধ থাকায় সে গ্রামের করিমের পোল্ট্রি খামারে মুরগীর দেখাশোনা করতো।
মুরগীর খামারের মালিকের ছেলে চুপ করে কয়েকটি মুরগী বিক্রি করে। এ জন্য দোষারোপ করা হয় রঞ্জনকে। আর সে জন্য তার বাবা তাকে ধমক দেয়।
এদিকে শিশুটির ঝুলন্ত লাশ উদ্ধারে দুই থানার পুলিশকে হাজির হতে হয়। শিশুটির বাড়ি জলঢাকা থানা এলাকায় হলেও আত্মহত্যার ঘটনাটি ঘটে নীলফামারী সদর থানার সীমানায়। দুই থানার পুলিশ দুপুরে ঘটনাস্থলে গিয়ে ঝুলন্ত মরদেহ নামিয়ে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নীলফামারী সদর থানার ওসি আব্দুল রউপ।