সমাজের কণ্ঠ ডেক্স:২৮ জুন, ২০১৯ -একজন মাত্র পুলিশ সদস্য নিয়ে আসামি হায়দার আলীর বাড়িতে যান থানার এএসআই। এ সময় হায়দার আলী ও তার স্ত্রী হ্যাপি বেগম গাছ কাটা দা দিয়ে কোপ হাকান। তাতে দুই হাতের রগ কেটে যায় এএসআই,র। ঘটনার পর পালিয়ে যান হামলাকারী স্বামী-স্ত্রী।
ঘটনাটি ঘটেছে আজ শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুরে পিরোজপুরের কাউখালী উপজেলার জয়কুল গ্রামে আসামি হায়দার আলীর বাড়িতে।
আহত কাউখালী থনার এএসআই রফিকুল ইসলামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হামলাকারী আসামি উপজেলার জয়কুল গ্রামের হায়দার হাওলাদার প্রতিবেশেী এক নারীকে লাঞ্ছিত করার মামলায় অভিযুক্ত।
জয়কুল গ্রামের ইউপি সদস্য হাফিজুর রহমান শাহিন বলেন, কাউখালী থানার এএসআই রফিকুল ইসলাম একজন পুলিশ সদস্য নিয়ে আসামি হায়দার আলীর বাড়িতে যান। এ সময় হায়দার আলী ও তার স্ত্রী হ্যাপি বেগম গাছ কাটা দা দিয়ে পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালান। এএসআই রফিকুল ইসলাম তাতে বাধা দিতে গেলে তার দুই হাতের রগ কেটে যায়। ঘটনার পর থেকে হামলাকারী স্বামী-স্ত্রী পলাতক।
কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, প্রতিবেশী এক নারীকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় উপজেলার জয়কুল গ্রামের হায়দার হাওলাদারের বিরুদ্ধে কাউখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলাটির তদন্ত করতে এএসআই রফিকুল ইসলাম আসামির বাড়িতে যান। ঘরে প্রবেশের সময় হঠাৎকরে আসামি হায়দার ও তার স্ত্রী ধারালো দা নিয়ে তেড়ে আসেন। এতে বাধা দিতে গেলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রফিকুলকে কুপিয়ে জখম করা হয়। এতে তিনি হাত ও মাথায় গুরুতর জখম হন।
স্থানীয়রা রফিকুলকে উদ্ধার করে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হামলাকারী ও মামলার আসামি হায়দারকে আটকের চেষ্টা চলছে বলে জানান ওসি।